পেঁপের পুষ্টিগুন

পেঁপের পুষ্টিগুন

 

পেঁপের পুষ্টিগুন


আমাদের দেশের জনপ্রিয় ফল পেঁপে । পেঁপে দেখতে যেমন সুন্দর খেতে তেমন সুস্বাদু। পেঁপে কাঁচা পাকা উভয়ই খাওয়ার উপযোগী এবং স্বাস্থ্য সম্মত ফল। কাঁচা পেঁপে রান্না করে খাওয়া যায় সবজি হিসাবে এবং সালাদ হিসাবেও অতুলনীয়। এবং পাকা পেঁপে রসালো ও মিষ্টি স্বাদের হয়। বাংলাদেশের সব জায়গায় পেঁপে পাওয়া যায়। সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায়। পেঁপে যেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর তেমন রয়েছে ঔষুধি গুণাগুণ। পেঁপে খাওয়ার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন কারণ পেঁপে ভেষজগুণে ভরপুর ফল। পেঁপেকে রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ব্যবহার করতে হবে কেননা পেঁপে উগ্রজাতীয় ফল। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখলে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, এবং দেহের প্রোটিনের চাহিদা মিটে যায়। পেঁপে ভিটামিনের চাহিদা পূরণে বিরাট গুণ সম্পন্ন ফল বা খাদ্যসামগ্রী।


পেঁপের উপকারীতা


* ত্বকের যত্নে পেঁপে বেশ উপকারী। ত্বকের কালো দাগ দূর করতে পেঁপের বেশ অবদান। এক্ষেত্রে এক টুকরো পাকা পেঁপে নিয়ে ২৫- ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে পানিতে ধুয়ে নিন। কালো দাগ দূর করতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে ৩-৪ সপ্তাহ।

* চুলের যত্নে পেঁপের গুরুত্ব অপরিসীম। চুলের গোড়া শক্ত ও চুল ঝলমল করতে পেঁপের সাথে টক দই মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। 

* পেঁপের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লুটেইন, ফ্লেভানয়েড, ক্রিপ্টাক্স্যান্থিন ইত্যাদি উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

* দৃষ্টিশক্তি বৃ্দ্ধিতে পেঁপের অবদান রয়েছে। নিয়মিত পেঁপে খেলে বয়সজনিত দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক থাকে। পেঁপেতে প্রচুর ভিটামিন এ, ই, সি আছে।

* পেঁপের মধ্যে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

* মশাবাহিত রোগ ফাইলেরিয়া এ রোগ প্রতিরোধে পেঁপে গাছ বেশ কার্যকর। ফাইলেরিয়ার ব্যাথা দূর করতে গরম পানিতে পেঁপে পাতা ফুটিয়ে সেই পাতার সেক নিতে হবে।

* নিয়মিত পেঁপে খেলে অনিয়মিত মাসিক থেকে পরিত্রাণ পাবেন । যাদের মাসিকের সমস্যা আছে তারা উপকৃত হবেন পেঁপে খেলে।

* উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পেঁপে অতুলনীয় ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে কাঁচা ও পাকা উভয় প্রকারের পেঁপেই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। 

* কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পেঁপে খাওয়ার অত্যাধিক গুরুত্ব রয়েছে।

* বদহজম ও গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করণে কাঁচা পেঁপে বেশ উপকারী। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই টুকরো করে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।

* লিভারের বৃদ্ধি রোধ করতে কাঁচা পেঁপে বেশ উপকারী ফল।

* পেঁপের আঠা রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী। বাতাসার সাথে কয়েক ফোঁটা পেঁপের আঠা মিশিয়ে খেলে উপকৃত হবেন ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে।  

* কাঁচা পেঁপের বীজ কৃমিনাশক। যা কৃমি প্রতিরোধে সহায়ক।

* সদ্য বাচ্চা হওয়া মায়েরা নিয়মিত কাঁচা পেঁপের তরকারি খেলে স্তনের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ